ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের চাপে ১২ দিন পরে বৃদ্ধা মাকে ঘরে তুলেছে তিন ছেলে

পুলিশের আন্তরিকতায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ছেলেদের হাতে মারধরের শিকার সেই মায়ের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে ১২ দিন পর ঘরে তুলেছে ওই পাষণ্ড তিন ছেলে।

এর আগে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৯০ বছর বয়সের বৃদ্ধা মায়ের শেষ সম্বল ২০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়ে মারধর করে বৃদ্ধা মাকে ঘরছাড়া করেছিল তারা। ছেলেদের মারধরের শিকার হয়ে ওই বৃদ্ধা মা গত ১০ দিন ধরে ভিক্ষা করে খেয়ে সরকারি অফিসের বারান্দায় রাত্রিযাপন করে আসছিলেন।

শুক্রবার (১৭ মে) জুম্মার নামাজের পর উপজেলা পরিষদ মার্কেটের নিচতলায় একটি দোকানে কেঁদে কেঁদে সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাঁচ দোয়াল গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দীনের স্ত্রী।

এ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইনে শুক্রবার রাতে বৃদ্ধা মাকে মারধর করে ঘরছাড়া করল তিন ছেলে শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পর নজরে আসে ঢাকা মেট্রোপটিলটন পুলিশের উপকমিশনার হাফিজুর রহমান রিয়েল ও ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাফুজ মাসুমের। শনিবার (১৮ মে) মুঠোফোনে সাংবাদিকদের নিকট বিস্তারিত ঘটনা শুনেন পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা।

সকালে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার মানবিক উদ্যোগে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই ওই বৃদ্ধা মাকে ঘরে তুলেছে পাষণ্ড তিন ছেলে। মায়ের পায়ে পড়ে ক্ষমা চেয়ে আগামী সোমবার লাহিড়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ২০ শতক জমি ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে জমি লিখে নেওয়া ছোট ছেলে খাজিজুল রহমান।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় গেল এক মাস হলো ওই মায়ের ২০ শতক জমি লিখে নিয়ে ছোট ছেলে খাজিজুল রহমান এবং তাকে মারধর করেছে বলে স্বীকার করে। এমন কথা শুনে এসআই আমজাদ হোসেন ওই ছেলেকে মারধর করার কথা বললে পুলিশের হাতে ধরে মারধর করতে নিষেধ করেন মা। তিনি ছেলেদের মারধর সহ্য করতে পারবেন না বলে পুলিশকে নিজের ছেলেদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন ওই বৃদ্ধা মা।

এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে ওই বৃদ্ধা মাকে ঈদের শাড়ী, খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়। সেই সাথে আগামী সোমবার জমি ফেরতের ব্যবস্থা করে দিয়েছে পুলিশ। এমন প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন